পাওয়ারপয়েন্ট ব্যাকগ্রাউন্ড – ডাউনলোড ও আলোচনা
মাইক্রোসফট অফিসের পাওয়ারপয়েন্টের সাথে পরিচিত নন এমন মানুষ কমই পাওয়া যাবে। প্রেজেন্টেশানের জন্য এর থেকে সহজলভ্য ও বেশী ফিচার যুক্ত টুল খুব কমই পাওয়া যাবে। যারা পাওয়ারপয়েন্টের মাধ্যমে কোন কিছু উপস্থাপন করে থাকেন তাদের অনেকেই টেমপ্লেট খুঁজে থাকেন। কিন্তু পাওয়ারপয়েন্টের মূল বিষয় হচ্ছে তার ব্যাকগ্রাউন্ড। ব্যাকগ্রাউন্ডের উপরই নির্ভর করে থাকে উপস্থাপনকারীর পার্সোনালিটি। তাছাড়া ব্যাকগ্রাউন্ড দেখেই অনেকে বলে দিতে পারবে যে এটি কোন ধরনের প্রেজেন্টেশানের জন্য তৈরী।

আসুন প্রথমেই পাওয়ারপয়েন্টের একটা স্লাইড দেখে নেই। নিচের ইমেজটাতে দেখুন পাওয়ারপয়েন্টের একটা স্লাইড দেয়া হয়েছে। অনেক সুন্দর লাগছে দেখতে। কিন্তু এই সুন্দর জিনিসটাই যাদের সামনে আপনি প্রেজেন্ট করবেন তারা কি ভাববে? তারা কখনওই সুন্দর বলবে না। কারন হলো স্লাইডটির টাইটেলটিই ব্যাকগ্রান্ডের জন্য পুরোপুরি বুঝা যাচ্ছে না। মানুষ আগে কন্টেন্ট দেখবে তারপর দেখবে স্টাইল।

এবার আসুন আরেকটা স্লাইড দেখি। নিচের স্লাইডটির ব্যাকগ্রাউন্ডটি দেখুন। এখন আপনি যদি সরাসরি কোন কন্টেন্ট এখানে বসান তাহলে ব্যাকগ্রাউন্ডটির সাথে সেটি মিশে যেতে পারে, যেমনটি আগের স্লাইডে দেখিয়েছিলাম। আর ওই সীমাবদ্ধতা দূর করার জন্য দেখুন প্রতিটি টেক্সটের পিছে আলাদা প্লেইন ব্যাকগ্রাউন্ড ইউজ করা হয়েছে। ফলে ব্যাকগ্রাউন্ড যাই হোক না কেন লেখা পড়তে কারো কোন সমস্যায় হবে না। নিচের স্লাইডটি আরো একটু ভাল করে খেয়াল করুন। স্লাইডটিতে নাম ও আইডির ব্যাকগ্রাউন্ডটা উজ্জ্বল রংয়ের। কারন নাম ও আইডিটা যাতে ফোকাস হয় ভাল মত তাই স্লাইডের ব্যাকগ্রাউন্ড ডার্ক টাইপের হওয়াতে আইডিগুলোর ব্যাকগ্রাউন্ড দেয়া হয়েছে তার বিপরীত (যেমন- সাদা কালো)।

এবার নিচের স্লাইডটি দেখুন। পুরো নীট এন্ড ক্লিন। একটি কথা মনে রাখা জরুরী সেটা হলো আপনি প্রেজেন্ট করছেন যেহেতু, সেহেতু স্লাইড গুলো আপনি যতটা ভালভাবে দেখতে পারবেন যাদের সামনে প্রেজেন্ট করছেন তারা ততটা ভালভাবে দেখতে পাবে না। তাই স্লাইড গুলো যত নীট এন্ড ক্লীন রাখা যায় ততই ভাল। নিচের স্লাইডটিতে কোন ইমেজ ব্যাকগ্রাউন্ড হিসেবে ইউজ করা হয় নি। বরং পাওয়ারপয়েন্টের গ্রাডিয়েন্ট ব্যাকগ্রাউন্ড ইউজ করা হয়েছে। আর লেখা হাইলাইট করার জন্য সেটিতেও ব্যাকগ্রাউন্ড ইউজ করা হয়েছে যেমনটি দেখিয়েছিলাম আগের স্লাইডে।

আপনি কোথায় আপনার প্রেজেন্টেশান টি প্রেজেন্ট করছেন সেটি হচ্ছে মূল বিষয়। ধরুন আপনি আপনার অফিসে প্রেজেন্ট করছেন। সেক্ষেত্রে ব্যাকগ্রাউন্ডটা অবশ্যই হতে হবে সিম্পল। যেমনটি আমি চার নং স্লাইডে দেখিয়েছি। কখনওই জাকজমকপূর্ণ ব্যাকগ্রাউন্ড অফিসিয়াল কাজে ইউজ করতে যাবেন না। এতে ইম্প্রেশান নষ্ট হয়।
এবার ধরুন আপনি আপনার ইউনিভার্সিটিতে প্রেজেন্ট করতে যাচ্ছেন। যদি আপনি আপনার কোন কোর্সের প্রেজেন্টেশান করতে চান তাহলে কোর্স টিচারের মানসিকতা আপনার দেখতে হবে। কারন নাম্বারটা উনিই দিবেন। যদি দেখেন টিচার একটু বেশী স্টাইল পছন্দ করেন তাহলে একটু স্টাইলিশ ব্যাকগ্রাউন্ড ইউজ করতে পারেন। তবে মনে রাখতে হবে কন্টেন্ট যাতে বুঝা যায়। আর যদি টিচার একটু বয়স্ক ও গম্ভীর টাইপের হয়ে থাকেন তাহলে তো ব্যাকগ্রাউন্ড হবে অবশ্যই সিম্পল।
এখন আসুন ব্যাকগ্রাউন্ড এডিটিং নিয়ে কিছু বলি। ধরুন আপনার একটি অনেক সুন্দর ব্যাকগ্রাউন্ড পছন্দ হলো। আপনি সেটা ইউজ করতে চান। কিন্তু দেখলেন সেটি ইউজ করলে টেক্সটে প্লেইন ব্যাকগ্রাউন্ড দেয়ার পরেও টেক্সট ভাল বুঝা যাচ্ছে না। সেক্ষেত্রে আপনি আপনার ব্যাকগ্রাউন্ডের ট্রানস্পারেন্সীটা বাড়িয়ে দিতে পারেন। অথবা ব্যাকগ্রাউন্ডটা ফটোশপে নিয়ে ব্লার এফেক্ট দিয়ে ইউজ করতে পারেন।
তবে একটি বিষয় অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে, আপনার প্রেজেন্টেশানের স্লাইড গুলো যাতে সবচেয়ে পিছনে বসা মানুষটিও দেখতে পায় ঠিক মত।
আমি আপনাদের নির্দিষ্ট কিছু ব্যাকগ্রাউন্ডে সীমাবদ্ধ রাখতে চাই না। আমি আপনাদের কিছু সার্চ স্ট্রীং দিচ্ছি। যেগুলো দিয়ে গুগলে সার্চ দিয়ে আপনি অনেক ভাল ভাল ব্যাকগ্রাউন্ড পেতে পারেন। এজন্য প্রথমেই সার্চ স্ট্রীংটি দিয়ে সার্চ দিন গুগলে। তারপর সার্চ পেজ হতে ইমেজ অপশনে ক্লিক করলে পেয়ে যাবেন ভাল ভাল ব্যাকগ্রাউন্ড।
powerpoint backgrounds
abstract wallpaper for powerpoint
powerpoint wallpaper background
powerpoint abstract backgrounds
blur backgrounds hd
blur background
powerpoint wallpaper
abstract hd wallpaper