ব্যাচ ওয়াটারমার্ক টিউটোরিয়াল
ফটোশপের একশান বা লাইটরুমের এক্সপোর্ট অপশন ব্যবহার করে এক সাথে অনেক গুলো ফাইলে ওয়াটারমার্ক বসানো যায়। কিন্তু ফটোশপের একশান সাধারণত একটু এডভান্স লেভেলের ইউজাররা ব্যবহার করে থাকেন এবং লাইটরুমের এক্সপোর্ট অপশনের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। কিন্তু অনেকে ছবিতে শুধু ওয়াটারমার্ক বসাতে চান। অন্য কোন এডিটিং এর প্রয়োজন না থাকলে, শুধু ওয়াটারমার্কের জন্য ভারী ভারী ফটো এডিটর ব্যবহার নিরর্থক। ব্যাচ ওয়াটারমার্ক এর জন্য তাই আলাদা একটি ছোট্ট সফটওয়্যারই ব্যবহার করা বেটার।
ফাস্টস্টোন ফটো রিসাইজার হচ্ছে একটি টোটাল ইমেজ অপটিমাইজ সলুশ্যান। আজ আমরা শিখব কিভাবে এই সফটওয়্যার ব্যবহার করে একই সাথে অনেক গুলো ছবিতে ওয়াটারমার্ক বসাতে পারব। তাই আজকের টিউটোরিয়ালের শিরোনাম ব্যাচ ওয়াটারমার্ক টিউটোরিয়াল। এজন্য প্রথমেই ফাস্টস্টোন ফটো রিসাইজার সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে ইন্সটল করে নিতে হবে।
ধাপ ০১: সফটওয়্যারটি ওপেন করুন। তাহলে নিচের উইন্ডোর মত একটি উইন্ডো আসবে।
ধাপ ০২: বোঝার সুবিধার্থে রেড এরো দিয়ে কিছু অপশন দেখিয়ে দিয়েছি। সফটওয়্যার ওপেন করার সাথে সাথে এরকম উপরের ইমেজের মত একটা উইন্ডো আসবে যেখানে দুটা ট্যাব আছে বাম পাশে।
- Batch Convert ও Batch Rename দুটা ট্যাবের মধ্যে বাই ডিফল্ট Batch Convert সিলেক্টেড থাকে। না থাকলে সেটা সিলেক্ট করে নিব।
- নিচের বক্সে ফাইল ও ফোল্ডার লিস্ট দেখাবে। এখান থেকে আপনি আপনার ইমেজ ব্রাউজ করবেন। ব্রাউজের নেভিগেশানের জন্য কিছু বাটন (রেড বক্স করে দিয়েছি) দেয়া আছে ব্যবহার করতে পারেন। (তিনটা ডট দেয়া বাটনে ক্লিক করেও আপনি আপনার ছবির ফোল্ডার ব্রাউজ করতে পারেন। কাজের সুবিধার্থে সাজেস্ট করব, সব ছবি এক ফোল্ডারে রাখতে।
- ফোল্ডার সিলেক্ট হলে বাম পাশের বক্সে ছবির লিস্ট পাবেন। সেখান হতে যে যে ছবিতে ওয়াটারমার্ক এড করতে চান সেগুলো সিলেক্ট করবেন। তারপর ডান পাশের Add বাটনে ক্লিক করবেন। Add All বাটনও চাইলে ব্যবহার করতে পারেন সব ইমেজ এড করতে চাইলে।
- উপরের ছবির ডান পাশে নিচে লক্ষ্য করুন Output Format বাছাই করার অপশন আছে। চাইলে আউটপুট ফরমেট পাল্টাতে পারেন। যেমন আছে তেমন রাখলেও চলবে। [বিঃদ্রঃ আউটপুট ফোল্ডার অবশ্যই আলাদা ফোল্ডার দিবেন, অন্যথায় মেইন ফাইল রিপ্লেস হয়ে যাবে]
- Output Folder চেক বক্সে ক্লিক করুন, তারপর Browse বাটনে ক্লিক করে কোথায় ফাইল সেভ করতে চান দেখিয়ে দিন।
- Use Advanced Options () চেক বক্সটি চেক করে দিন। তারপর Advance Options বাটনে ক্লিক করুন।
ধাপ ০৩: Advance Options বাটনে ক্লিক করলে নিচের উইন্ডোর মত একটি নতুন উইন্ডো ওপেন হবে, আগের উইন্ডোর উপর।
- এখানে অনেক গুলো ট্যাব আছে, তার মধ্যে Watermark ট্যাবে ক্লিক করুন। আর যদি টেক্সট বসাতে চান তাহলে Text ট্যাবে ক্লিক করতে পারেন। আমি জাস্ট Watermark ট্যাবে ক্লিক করলাম।
- বাম পাশের Add Watermark চেক বক্সটি চেক করে দিন।
- তিনটি ডট দেয়া বাটনে (ব্রাউজ) ক্লিক করে আপনার ওয়াটারমার্কের ইমেজটি বা লোগোটি সিলেক্ট করে দিন।
- Shadow, Background, Round তিনটি অপনশ আছে যেগুলো ব্যবহার করে দেখতে পারেন, অথবা ছবিতে যেমন আছে তেমনি রেখে দিন।
- Opacity স্লাইডার ব্যবহার করে বা ভ্যালু পাল্টিয়ে লোগো / ওয়াটারমার্কের অপাসিটি কমাতে পারেন।
- XY Offset হচ্ছে ইমেজের বর্ডার হতে লোগো / ওয়াটারমার্কের পজিশন। ভ্যালু পরিবর্তন করে নিচের প্রিভিউর সাথে মিলিয়ে দেখতে পারেন আপনি কোথায় লোগো / ওয়াটারমার্ক বসাতে চান। প্রিভিউ পছন্দ হলে ওকে বাটনে ক্লিক করে উইন্ডোটি ক্লোজ করে দিন। আগের উইন্ডোতে কনভার্ট বাটনে ক্লিক করুন।
- ব্যাস ! ওয়াটারমার্ক অটোমেটিক হবে।
- এখানে অনেক অপশন আছে কিন্তু সব গুলো আলোচনা করলাম না। কোথাও বুঝতে অসুবিধা হলে অবশ্যই নিচে কমেন্টে জানাবেন।
.
অনেক দিন পর কম্পিউটার ক্লাবে কোন টিউটোরিয়াল লিখছি। এক কলেজ ফ্রেন্ড জানতে চাওয়াতে ভাবলাম লিখে ফেলি। তাহলে এটি অন্যদেরও কাজে আসতে পারে।