লেটেস্ট কয়েকটি ফ্রী এন্টিভাইরাস – ডাউনলোড
এমন কোন এন্টিভাইরাসের নাম কেউ বলতে পারবে না যেটির সম্পর্কে খারাপ মন্তব্য কেউ করে নি। আবার এমন কোন এন্টিভাইরাস পৃথিবীতে সৃষ্টি হয় নি এবং সৃষ্টি হবেও না ভবিষ্যতে যেটি আপনাকে ১০০% গ্যারান্টি দিতে পারবে। আমার কাছে তো ভাইরাস আর এন্টিভাইরাসের মধ্যে তেমন পার্থক্য পরিলক্ষিত হয় নি। কারন দুটোর কাজই একে অপরকে ধ্বংস করা। তো এটাকে মিল হিসেবে ধরাই যেতে পারে। এন্টিভাইরাস নিয়ে একেকজনের একেক মতামত। তো আমি আজ আলোচনা করবো সেরা কয়েকটি ফ্রী এন্টিভাইরাস নিয়ে।

এন্টিভাইরাস যদিও আমার ব্যবহার করার প্রয়োজন হয় না এবং আমার জানা মতে অনেকেরই হয় না। তবে প্রশ্ন জাগতে পারে তাহলে সবাই এন্টিভাইরাস কেন ব্যবহার করে? যারা সাধারন ব্যবহারকারী তাদের জন্য এন্টিভাইরাস আবশ্যক। কারন তারা অনেক সময় সঠিক ফাইল চিনতে ভুল করেন। যার ফলে পিসিতে ভাইরাস চলে আসে। তাছাড়া যারা অনলাইনে কেনাকাটা করেন অথছ অনলাইন জগতের হ্যাকিং এর পদ্ধতি গুলো সম্পর্কে অবগত নন তাদের জন্য বেস্ট হলো ইন্টারনেট সিকিউরিটি ইউস করা।
একটি জিনিস খেয়াল করুন। আমি যেটা লক্ষ্য করেছি সেটা হলো, কর্পোরেট ইউজার থেকে হোম ইউজাররাই এন্টিভাইরাস নিয়ে বেশী চিন্তিত। এর একটি কারন হতে পারে হোম ইউজারের সংখ্যা বেশী। তবে আমি এন্টিভাইরাস প্রায় কয়েকমাস পরপরই পরিবর্তন করি। এই পোস্টটি যখন লিখছি তখন এভাস্ট ডাউনলোড হচ্ছে আর অ্যাভিরা পিসিতে চলছে। পোস্ট শেষে এভাস্ট ইন্সটল করে ফেলবো। তার আগে ব্যবহার করেছি বিট ডিফেন্ডার, কমোডো সহ আরো কয়েকটি ফ্রী এন্টিভাইরাস। প্রিমিয়াম এন্টিভাইরাস বা ইন্টারনেট সিকিউরিটিও ব্যবহার করেছি তবে সেগুলা এই পোস্টের আলোচ্য বিষয় নয়।
#১ এভাস্ট ফ্রী এন্টিভাইরাস: ফ্রী এন্টিভাইরাস গুলোর মধ্যে যদি ফিচারের দিক থেকে তুলনা করি তাহলে এভাস্ট হচ্ছে সেরা। এই এন্টিভাইরাসের দুটো জিনিস সবচেয়ে ভাল লেগেছে এর একটা হলো আউলুক প্লাগিন ও অন্যটা হলো বুট স্ক্যান। সাধারণত ডেস্কটপ ওপেন হওয়া মানেই ভাইরাসের কাজ শুরু হয়ে যাওয়া। তাই বুট স্ক্যানের মাধ্যমে এভাস্ট আপনার সব এপস অফ থাকা অবস্থায় পিসি স্ক্যান করবে। এছাড়া এতে রয়েছে ব্রাউজার ক্লিনিং, আপডেট নোটিফিকেশান সহ আরো অনেক সুবিধা। এভাস্ট ফ্রী এন্টিভাইরাসটি রেজিস্ট্রেশান করে চালাতে হয়।
#২ এভিজি ফ্রী এন্টিভাইরাস: এটিও একটি ভাল এন্টিভাইরাস। এটি সম্পর্কে আলাদা ভাবে বলার মত কিছু নেই। তবে এটি অনেক পপুলার একটি এন্টিভাইরাস এবং এটি একটু পাওয়ারফুলও বটে। এটি বেশী দিন ব্যবহার করিনি তাই বেশী বলতে পারলাম না।
#৩ অ্যাভিরা ফ্রী এন্টিভাইরাস: পিসি কনফিগারেশন যাদের কম, বা যারা চান এন্টিভাইরাস পিসি যাতে স্লো না করে এমন সুবিধা, তাদের জন্য অ্যাভিরার কোন বিকল্প নেই। এটি আমার কাছে ভাল লেগেছে কারন এটি পেন্ড্রাইভের অটোরান ফিচারটা অফ করে দেয়। যদিও এটা ম্যানুয়াল্লি করা যায়।
#৪ কমোডো ফ্রী এন্টিভাইরাস: কমোডো ফ্রী এন্টিভাইরাস আমার মতে ব্যবহার না করাই শ্রেয়। আসলে এটি খারাপ নয়। আসল কথা হচ্ছে কমোডো আপনাকে ফ্রীতে ইন্টারনেট সিকিউরিটি দিচ্ছে। তাহলে কি দরকার এন্টিভাইরাস ইউস করার! আপনি তাই ইউস করতে পারেন কমোডো ফ্রী ইন্টারনেট সিকিউরিটি।
#১২ মাইক্রোসফট সিকিউরিটি এসেনসিয়ালস: অনেকেই বলে থাকেন এটির মত পাওয়ারফুল এন্টিভাইরাস নাকি নেই। এর কারন হতে পারে কারন হলো, উইন্ডোজের সিকিউরিটি সম্পর্কে উইন্ডোজের মত এতটা কেই বা জানে! তবে উইন্ডোজ ডিফেন্ডার আর এটি একই জিনিস। সাধারণত উইন্ডোজ সেভেনে ও এইটে এটি ডিফল্ট ভাবে থাকে। আর এটি ইন্সটল করতে হলে আপনার উইন্ডোজটি অবশ্যই একটিভেটেড হতে হবে। যদি একটিভেট না করা হয়ে থাকে তাহলে এখনি উইন্ডোজ একটিভেট করে নিন।
#১৯ পান্ডা ক্লাউড এন্টিভাইরাস ফ্রী এডিশান: এই এন্টিভাইরাসটি এখনও ইউস করি নি। তবে এটিও অনেকটা পপুলার এন্টিভাইরাস। অন্যন্য এন্টিভাইরাসগুলোর মতই এতে আপনি সেম সুবিধা পাবেন।
#৩৫ জোন এলার্ম ফ্রী এন্টিভাইরাস: এটি ফ্রী এন্টিভাইরাসের সাথে আপনাকে ফ্রী ফায়ারওয়াল এর সার্ভিসও দিবে। মূলত যারা এন্টিভাইরাস ইউস করেন তারা ফায়ারওয়ালের জন্য জোন এলার্ম ইউস করে থাকেন, কারন ফায়ারওয়াল সুবিধাটা ইন্টারনেট সিকিউরিট ছাড়া পাওয়া যায় না। জোন এলার্ম ফায়ারওয়াল অনেক জনপ্রিয় ফায়ারওয়াল।
#৩৭ বিট ডিফেন্ডার ফ্রী এন্টিভাইরাস: ফ্রী এন্টিভাইরাস হিসেবে এটি অন্যন্যদের মত ততটা ভাল বলতে পারছি না। যদিও এটির প্রিমিয়াম সিকিউরিটির কোন তুলনা হয় না। তবে ফ্রী টা আমার কাছে অন্তত অনেক বাজে লেগেছে। কারন এটি আমার পিসি অনেক স্লো করে দিতো। আর ব্যাকগ্রাউন্ডে প্রচুর ব্যন্ডউইথ নষ্ট করতো। তবে এটিও কিন্তু জনপ্রিয়তা পেয়েছে অনেক।
প্রতিটি এন্টিভাইরাসের সামনে নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন সংখ্যা দেয়া আছে। ওটা হচ্ছে সিনেট র্যাংকিং। আর যেটি ডাউনলোড করতে চান সেটির টাইটেলে ক্লিক করলেই ডাউনলোড করতে পারবেন।
এখন কেউ যদি জিজ্ঞাসা করেন কোন এন্টিভাইরাস ইউস করা ভাল। আমি তাকে সাজেস্ট করবো এভাস্ট। পিসিতে ভাইরাস প্রবেশ করার আগেই পিসিতে এন্টিভাইরাস সেটাপ দিয়ে নিন। তা নাহলে ভাইরাস প্রবেশের পর সহজে তা তাড়াতে পারবেন না। তখন এন্টিভাইরাসকে দোষ দিয়ে লাভ নেই।
আমি নতুন কম্পিউটার ব্যবহার করছি আমার কাছে ৪/৫ এন্টিভাই রাস সফট্যার আছে কিন্ত ইসটল নিচ্ছে না কি করা যায় বলেন তো ভাইয়া বললে খুবই উপকূত হব
নতুন করে ডাউনলোড করুন 🙂