সেরা পাঁচ ফ্রী লোগো মকআপ – বোনাস টিপস
লোগো ডিজাইনারদের লোগো প্রেজেন্টেশানের জন্য লোগো মকআপ প্রয়োজন হয়। মনমত লোগো মকআপ সহজে পাওয়া যায় না। তবে কিছু কিছু মকআপ আছে যা প্রচুর ব্যবহৃত হয়ে থাকে। সেখান থেকে বাছাইকৃত পাঁচটি লোগো মকআপ নিয়ে এই পোস্ট।
নতুন লোগো ডিজাইনাররা সবচেয়ে বেশী সমস্যায় পরে থাকেন লোগো মকআপ নিয়ে। যারা বিভিন্ন লোগো মেকিং কন্টেস্টে পার্টিসিপেট করে থাকেন তারা অনেক সময় বিজয়ীদের লোগো মকআপ খুঁজে থাকেন। এই পোস্টে যে পাঁচটি লোগো মকআপ রয়েছে তা কোথাও না কোথাও আগে দেখে থাকবেন।
নতুন লোগো ডিজাইনারদের জন্য আমার সাজেশন হলো, ক্লায়েন্ট যদি না চায় তাহলে জেনেরিক লোগো ব্যবহার করবেন না। এখন একটা উদাহরণ দেই, স্য়ামসাং এর লোগো তে শুধু সেমসাং লেখা, নকিয়ার লোগোতে শুধু নকিয়া লেখা তাহলে এগুলো কি জেনেরিক লোগো কি না? আসলে যেসব লোগোতে কোম্পানির নাম ব্যবহার করা হয় শুধু বা নামের প্রথম অক্ষর, সেসব ক্ষেত্রে কোম্পানীর নামটাই আসল। নামটাই যদি জেনেরিক হয় তাহলে লোগো-তৈরীর পর পরবর্তিতে সেটার লাইসেন্স (ট্রেড মার্ক) নিয়ে সমস্যা হতে পারে। তবে আপনি হয়তো ভাবতে পারেন আমি বাইরের এক ক্লায়েন্টের কাজ করি, সে কোথায় পাবে আমাকে! এরকম ভাবলে ভুল করবেন। আসলে বর্তমানে লোগো-কন্টেস্ট গুলোতে দেখা যায় প্রচুর কপি লোগো ব্যবহার হচ্ছে। হয়তো শুরুতে আপনি আর্ন করবেন কিছু কিন্তু ইন দ্যা লং রান আপনি কাজ তো পাবেনই না বরং টিকতেই পারবেন না।
লোগো বানানোর আগে রিসার্চ করা লাগে। একটা লোগো বানাতে এক মিনিটেরও কম সময় লাগতে পারে কিন্তু কি বানাতে হবে সেটা বের করতে কত সময় লাগবে সেটা অনিশ্চিত। অতিরিক্ত কালারফুল, এফেক্ট দেয়া লোগো পরিহার করুন (ব্যতিক্রম থাকতে পারে যেমন গেমসের লোগো)। লোগো বানানোর আগে ভেবে নিন এটা বিজনেস কার্ড, লেটারহেড, প্যাড বা নানা অফিস এক্সেসরিজে ব্যবহার উপযোগী কিনা। লোগো বানানো শেখার প্রথম ছয়মাস শুধু সেম্পল লোগো বানাবেন। কারো কাজ হাতে নিবেন না। কারন আজ যেটা আপনার চোখে অসাম, সেটা ছয়মাস পরে বিশ্রী লাগবে। বিশ্বাস না হলে ছয়মাস আগের ডিজাইন খুলে দেখুন, আগে কিরকম ডিজাইণ করতেন আর এখন কি রকম করেন।
০১। লোগো মকআপ পেপার এডিশান

০২। থ্রিডি গ্লাস উইন্ডো লোগো মকআপ

০৩। এলেগেন্ট মেটালিক লোগো মকআপ

০৪। এমবোস পেপার লোগো মকআপ

০৫। গোল্ড স্ট্যাম্পিং লোগো মকআপ
