উইন্ডোজ এইট পয়েন্ট ওয়ান রিভিউ
উইন্ডোজ ৯৫, উইন্ডোজ এক্সপি, উইন্ডোজ এইট এগুলোর মাধ্যামেই মাইক্রোসফট কম্পিউটার ইউজারদের জন্য নতুন নতুন সিস্টেম নিয়ে হাজির হয়েছিলো। সর্বশেষ উইন্ডোজ এইট সংস্করনটি বের হবার পর স্টার্ট বাটনের জন্য অনেক ক্ষোভ ছিল অনেকের, তাছাড়া নতুন এই সংস্করনটি তৈরী করা হয়েছিলো টাচ স্ক্রীণ ফ্রেন্ডলি ওএস হিসাবে। অনেক ব্যবহারকারী প্রথম প্রথম ইউজ করতে গিয়ে সামন্য সমস্যায় পড়েছেন বৈকি। তবুও প্রযুক্তি আগাচ্ছে, পরিবর্তনের সাথে সবাইকে খাপ খাওয়াতে হবে। তবে এখন অনেকেই উইন্ডোজ এইটের প্রতি অভ্যস্থ হয়ে উঠেছে।

মাইক্রোসফট তাদের এইট সংস্করণটিতে স্টার্ট বাটন সরিয়ে দিয়েছিলো। এজন্য মাউস পয়েন্টার স্টার্ট বাটন যেখনে ছিলো সেই কোণায় নিয়ে গেলে স্টার্ট স্ক্রীণে যাওয়ার অপশন দেখাতো। যেটি কিছুটা ঝামেলার ছিলো। আর মূলত এজন্যই মাইক্রোসফট ৮.১ ভার্সন বের করা হলো। শুধু একটি কাজের জন্যই তো আর একটি সংস্করণ বের করা যায় না। তাই যুক্ত হয়েছে আরো অনেক কিছু। প্রথমে ধারণা করা হয়েছিলো উইন্ডোজ তাদের এই সংস্করণটির নাম দিবে উইন্ডোজ ব্লু কিন্তু পরবর্তীতে উইন্ডোজ ৮.১ রাখারই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিলো।
স্টার্ট বাটন:
স্টার্ট বাটন তো যুক্ত হয়েছেই। তার মানে এই না যে আপনার আগের মত স্টার্ট স্ক্রীণ আসবে। স্টার্ট বাটনটি শুধু একটি বাটন মাত্র। আর বাকী সব আগের মতই আছে। তার মানে আপনি স্টার্ট বাটনে ক্লিক করে উইন্ডোজ এইটের স্টার্ট স্ক্রীণে যেতে পারবেন।
স্টার্ট স্ক্রীণ পার্সোনালাইজেশান:
এবার নতুন স্টাইল দিয়ে নিজের মতই পার্সোনালাইজ করুন মাইক্রোসফট উইন্ডোজ এইট পয়েন্ট ওয়ানের স্টার্ট স্ক্রীণ। এতে যুক্ত করা হয়েছে অনেক স্টাইল এবং সেটিংস এ এসেছে কিছুটা পরিবর্তন। ব্যাকগ্রাউন্ড কালার চেঞ্জের পাশাপাশি রয়েছে এক্সেন্ট কালার পরিবর্তনের সুবিধা। শুধু তাই নয় আপনি চাইলে আপনার ওয়ালপেপারটিও স্টার্ট স্ক্রীণের ব্যাকগ্রাউন্ড হিসেবে সেট করতে পারবেন।
টাইল:
স্টার্ট স্ক্রীনে যুক্ত করা হয়েছে কিছু নতুন সাইজের টাইল। নিচে ওয়েদারের টাইলটি দেখুন তাহলেই বুঝতে পারবেন। টাইলের উপর মাউসের রাইট বাটনে ক্লিক করে আপনি চার ধরনের টাইল সিলেক্ট করতে পারবেন এবং এপস গ্রুপের টাইটেল পাল্টাতে পারবেন।

সার্চ:
আগে এপস সার্চের জন্য আমরা স্টার্টে গিয়ে টাইপ করা শুরু করলেই সার্চে এপস গুলো দেখাতো। কিন্তু এখন সার্চকে করা হয়েছে আরো আধুনিক। এখন আপনি সার্চ দিলে এটি শুধু এপসই দেখাবে না। সাথে বিং ইউস করে ওয়েব সার্চ, স্কাই ড্রাইভ সার্চ সুবিধাও থাকছে।
ফটোস এপ:
ফটোস এপসে যুক্ত করা হয়েছে কিছু ফিচার। যার ফলে আপনি ফটোস এপস হতেই আপনি আপনার ফটো এডিট বা এডজাস্ট করতে পারবেন। শুধু তাই না, মেইল বা স্কাই ড্রাইভ এপস হতেও এ কাজটি আপনি করতে পারবেন।
লক স্ক্রীন স্লাইড শো:
উইন্ডোজ এইটি আমরা সাধারণত লগিন বা লক স্ক্রীণে ফটো এড করার সুবিধা পেয়েছিলাম। এখন সেটিকে আরো একটু আধুনিক করা হয়েছে। এবার সেখানে ফটো ফ্রেমের মত স্লাইড শো দেখানো যাবে।
ফেসবুক ও ফ্লিকার সাপোর্ট:
উইন্ডোজ এইট পয়েন্ট ওয়ানের ফটোস এপস এ থাকছে না ফেসবুক ও ফ্লিকার সাপোর্ট। এজন্য এপ স্টোর হতে আলাদা এপস ডাউনলোড করতে হবে।
এপস স্ক্রীণ:
উইন্ডোজ এইটে একসাথে দুটো এপস পাশাপাশি ওপেন করা যেত। এখন উইন্ডোজ এইট পয়েন্ট ওয়ানে তিন বা তার অধিক এপস পাশাপাশি ওপেন করা যাবে।
হেল্প + টিপস:
উইন্ডোজ এইট ইন্সটলের পরপরই কিছু টিপস দিতো কিভাবে স্টার্ট স্ক্রীন আনতে হয়, তাছাড়া কোন কর্ণারে মাউস নিলে কি হবে সেটি দেখাতো কিন্তু উইন্ডোজ এইট পয়েন্ট ওয়ানে আপনি পাচ্ছেন হেল্প + টিপস অপশন। যেখানে আপনাকে উইন্ডোজ চালানো সম্পর্কে কিছু টিপস দেয়া হবে তাছাড়া উইন্ডোজ ইন্সটলের পরও আপনাকে নতুন ব্যবহারকারী হিসবে বিভিন্ন টিপস দিবে।

নতুন শাট ডাউন অপশন:
আগে নিচে বাম কর্ণারে মাউসের রাইট ক্লিক করলে যে মেনু ওপেন হতো সেটাতে যুক্ত করা হয়েছে শাটডাউন অপশন। এখন স্টার্ট বাটনে রাইট ক্লিক করলেই পাবেন শাট ডাউন অপশন। তাছাড়া এই মেনুটি ওপেন হবার জন্য কীবোর্ড হতে Win + X কী প্রেস করলেও হবে।
নিউ এপস:
- বিং ফুড এন্ড ড্রিংক
- এলার্ম, টাইমার, স্টপ ওয়াচ
- ক্যালকুলেটার স্ট্যান্ডার্ড, সায়েন্টেফিক, কনভার্টার
- সাউন্ড রেকর্ডার
- বিং হেল্থ এন্ড ফিটনেস
আপডেটেড এপস:
- পিপল
- হোয়াট’স নিউ
- ওয়েদার
এ ভার্সনে মাউস ও কীবোর্ডের কার্যক্ষমতার উন্নতি হয়েছে। তাছাড়া এটি উইন্ডোজ এইটের থেকে বুটে সময় কম নিবে। যারা উইন্ডোজ এইট কিনেছেন তাদের জন্য এটি সম্পূর্ণ ফ্রী। তবে স্টার্ট মেনু এখনো আসে নি। এসেছে শুধু স্টার্ট বাটন…
ভাল লাগলো।